ঈশ্বরগঞ্জে দুই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে সন্ত্রাসীদের হামলা

কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিয়ে কথাকাটাকাটির জের ধরে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি এলাকায় দুই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা, পরিবারের সদস্যদের মারধর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ঈদের দিন গত বুধবার বিকেল ৫টার দিকে একদল সন্ত্রাসী এ হামলা চলিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হামলার এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এই দুই মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ির রাজবাড়ী এলাকায়। সন্ত্রাসীরা প্রথমে হামলা চালায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুস ছালাম ভুঁইয়ার (মৃত) বাড়িতে। তাঁর বড় ছেলে শামছুল আলম ভুঁইয়া বলেন, তাঁর ছেলে আতিকুর রহমান ঈদের দিন আঠারবাড়ি ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস দেখতে যায়। কিন্তু তাকে প্রবেশ করতে দেয়নি কলেজের নিরাপত্তাকর্মী আবুল কাশেম। কিন্তু ওই নিরাপত্তাকর্মী টাকার বিনিময়ে অনেক নারী-পুরুষকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়। এ নিয়ে কাশেমের সঙ্গে আতিকুরের কথাকাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে কিছুক্ষণ পর আঠারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীরের ছোট ভাই জসীমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দা-লাঠি নিয়ে তাঁদের বসতঘরে প্রবেশ করে পরিবারের লোকজনদের বেধড়ক মারধর করে। এতে তাঁর মা রাবিয়া খাতুন (৭৫), ভাতিজা নাজমুল হোসেন (৮) এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা আহত হন।
আতিকুর রহমান (১৮) জানায়, ঈদ উপলক্ষে সে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা কেনে। হামলাকারীরা ওই ক্যামেরাসহ একটি দামি মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেয়। রাবিয়া খাতুন বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা হামলা করে আমাকেসহ ঘরের সবাইকে মারধর করে লুটপাট করেছে। ’
প্রতিবেশী পাপ্পু চক্রবর্তী (১৮) জানান, চিৎকার শুনে তিনি এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাঁকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে।
অন্যদিকে ঈশ্বরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতেও হামলা চালায় ওই সন্ত্রাসীরা। তিনি রাষ্ট্রপ্রতি আব্দুল হামিদের বেয়াই।
তোফাজ্জল হোসেনের ভাতিজা ফেরদৌস মিয়া জানান, প্রায় ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তাঁকে ও তাঁর মা পারুল বেগমকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে বাড়িঘর তছনছ করে লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় তাঁর ছোট ভাই বায়েজিদ আহমেদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আশিদ মিয়া (৪০) নামে একজন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে হামলাকারীদের ইটের আঘাতে অচেতন হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আঠারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হামলার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে হামলাকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি। এ ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক, এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ’ সূত্র- কালেরকন্ঠ