ময়মনসিংহসোমবার , ২৬ জুলাই ২০২১

ঈশ্বরগঞ্জে মুরগীর খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

আবদুল কাদির
জুলাই ২৬, ২০২১ ১১:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে আবাস স্থলে লেয়ার মুরগীর খামার স্থাপন করার অভিযোগ উঠেছে। মুরগীর খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে, প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও স্হানীয় ইউপিঃ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ডা.মো.আব্দুর রশিদ খান।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার মাস আগে উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নেরমধুপুর(বালুয়াকান্দা)গ্রামের
মৃত শাহাব উদ্দীনের পুএ মো.শামিম (২৮) রায়বাজার সংলগ্ন বালুয়াকান্দা মাদ্রাসার পাশে আবাসিক এলাকায় চারশত লেয়ার মুরগীর খামার স্থাপন করেন। মুরগীর বিষ্ঠার কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামারের চারদিকে মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে।

অথচ নীতিমালা অনুযায়ী,একটি মুরগীর খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনগণের ক্ষতি হয় এমন স্থানে এসব খামার স্থাপন করা যাবে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খামারটিতে মুরগীর বিষ্ঠা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। নেই পানি ও বিষ্ঠা নিষ্কাশনের সু ব্যবস্থা। খামারের পাশে রয়েছে বসতবাড়ি ও মাদ্রাসা।
এছাড়া আবাসিক এলাকায় অবস্থিত খামারের বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেই। খামারটি স্থাপনের ক্ষেত্রে জাতীয় পোল্ট্রি উন্নয়ন নীতিমালা মানা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রতিবেশী মো.মিজানুর রহমান বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে খামারটি সরানোর জন্য খামার মালিককে প্রায় কয়েক মাস ধরে বললেও কোন প্রতিকার না পেয়ে ইউপিঃ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। পরে ২৩ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারএবং(২৫ জুলাই)উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। তার অনুলিপি পরিবেশ অধিদপ্তরেও পাঠানো হয়েছে বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খামার মালিক মোঃশামীম বলেন, শখের বসে ইউটিউব দেখে ৪শত মুরগী দিয়ে খামারটি করেছি,এখন আনুমানিক ১ শত চল্লিশ টি মুরগী আছে এগুলিও বিক্রি করে দিবো। তিনি আরো বলেন ময়মনসিংহের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে খামারটি নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে যাতে দুর্গন্ধ কম ছড়ায়,খামার টি দ্রত অন্য যায়গায় সরিয়ে নিবেন বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে আঠারবাড়ি ইউপিঃ চেয়ারম্যান জুবের আলম কবীর রুপক’র সাথে একাধিক বার মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা.আবু সাদাত মো.সায়েম বলেন,এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তাই বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ভেটেরিনারি সার্জনকে বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিস্পত্তি করার জন্য ইউপিঃ চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছি।তারপরও নিস্পত্তি না হলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করব।

    ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com