বরগুনা জেলার বামনা থানায় মানববন্ধনে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে এক এএসআই’র গালে ওসির থাপ্পড় মারার ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তদন্ত কমিটি।
পুলিশ বলছে, শুধু থাপ্পড় নয়, পুরো ঘটনারই তদন্ত করছে তারা। ঘটনার তদন্তে ইতোমধ্যেই গত রোববার গঠিত হয়েছে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন জেলার আমতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম এবং পুলিশ পরিদর্শক (ক্রাইম) মো. সোহেল।
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত মেজর (অব.) সিনহার সফরসঙ্গী এবং পুলিশের দেওয়া মামলায় অভিযুক্ত ও গ্রেপ্তারকৃত সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে পুরো ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি তাদের তদন্তকার্য শুরু করে দিয়েছে। আমি এ কমিটির প্রধান। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে আমরা আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।’
কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের মৃত্যুর পর গ্রেপ্তার সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে শনিবার মানববন্ধন পণ্ড করার সময় কর্তব্যরত এক এএসআইকে চড়-থাপ্পড় মারেন বামনা থানা পুলিশের কর্তব্যরত ওসি ইলিয়াস হোসেন তালুকদার।
এ ঘটনায় থাপ্পড় মারার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বামনা থানা পুলিশের ওসির সমালোচনা করেন দেশব্যাপী অসংখ্য মানুষ। এতে ভাবমূর্তি নষ্ট হয় খোদ পুলিশেরও। ওসি ইলিয়াস হোসেন শত শত মানুষের সামনে যে এএসআইকে থাপ্পড় মারেন, তিনিও বামনা থানায় কর্মরত ছিলেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বলেন, ‘বিকেলে বামনা থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্যার আমাকে ডেকেছিলেন। আমি তার কাছে যাওয়ার পর তিনি শনিবারের ঘটনা আমার কাছে জানতে চেয়েছেন। এরপর আমি পুরো ঘটনা স্যারকে খুলে বলেছি।’
তবে এ বিষয়ে বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com