ব্রিটিশ আমলে তৈরি গফরগাঁও-টোক সড়কটি ময়মনসিংহ জেলার অন্যতম পুরনো সড়ক। ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় ঘেঁষে গফরগাঁও উপজেলা সদর থেকে টোক পর্যন্ত এ সড়কটি খান বাহাদুর ইসমাইল রোড নামে পরিচিত। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৫ম একনেক সভায় সড়কটির যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প পাস হয়।
বর্তমানে সড়কটিতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। গফরগাঁও পৌর এলাকার শেষ প্রান্ত তেঁতুলিয়া মড়লবাড়ি এলাকায় সড়কটির বেশকিছু অংশ এরই মধ্যে ব্রহ্মপুত্রে বিলীন হয়ে গেছে। পাশাপাশি হুমকিতে পড়েছে বেশকিছু বাসা-বাড়ি। ভাঙনকবলিত স্থানটির পাশের একটি বাড়ি এরই মধ্যে ভেঙে ব্রহ্মপুত্রে চলে গেছে। ভাঙন এখনো অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পুরো সড়কটি ব্রহ্মপুত্রের পেটে চলে যেতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
ভাঙনের কারণে এ সড়ক দিয়ে দিনেও যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভাঙনে সড়কটি এতই সরু হয়ে পড়েছে। রাতে চালকরা একটু অসাবধান হলেই যানবাহনটি চলে যাবে সোজা ব্রহ্মপুত্রে। এ অবস্থায় স্থানীয়রা একটি বাঁশের খুঁটির লাল কাপড় বেঁধে দিয়ে নিজেদের দায় সেরেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মিয়া জানান, উপজেলার দত্তের বাজার এলাকা থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছয়জন যাত্রীসহ ভাঙন কবলিত স্থানে উল্টে যায়। ভাগ্য ভাল থাকার কারণে রিকশাটি উল্টে ব্রহ্মপুত্রে না পড়ায় যাত্রীরা সামান্য আহত হন।
তিনি বলেন, আগামী দুয়েক দিন বৃষ্টি পানি নেমে পুরো সড়কটি ব্রহ্মপুত্রের পেটে চলে যেতে পারে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। ভাঙনকবলিত স্থানটিও দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com