ময়মনসিংহরবিবার , ২৭ জুন ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দুর্গম পাহাড়ে ইউরোপীয় মানের সড়ক

জেলা প্রতিনিধি
জুন ২৭, ২০২১ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সবুজ পাহাড় ঘেঁষে এঁকেবেঁকে চলেছে সড়কটি। রয়েছে মেঘের মিতালী। দেখে মনে হবে ইউরোপীয় কোনো সড়ক। খাগড়াছড়ির গুইমারা থেকে মহালছড়ি উপজেলা পর্যন্ত সাড়ে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এমনই একটি সড়ক নির্মাণ করেছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কটি সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার্স কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন নির্মাণ করে।

নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই কাজ শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সড়কটি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া এ সড়কের নির্মাণ কাজের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

দুর্গম পথের এ সড়কটি নির্মাণে অনেকটা কঠিন পথেই এগোতে হয়েছে সেনাবাহিনীকে। পাহাড় ধস ঠেকানোর জন্য সাড়ে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে ২৪ কিলোমিটার সাইড ড্রেন, ২৮ মিটার কালভার্ট, ৪১০ মিটার গ্রাভিটি, ৬৩০ মিটার রিটেইনিং ওয়াল ও ৮০০ মিটার প্যারাসাইডিং। মূল কার্পেটিং সড়কটি ১৮ ফুট প্রশস্ত।

রাঙামাটি হয়ে ঢাকার যাত্রীরা এখন চট্টগ্রামকে এড়িয়ে এ সড়ক ব্যবহার করে ফেনী পৌঁছাতে পারবেন ৬৮ কিলোমিটার কম দূরত্বে। আর এতে সময় বাঁচবে তিন ঘণ্টা।

মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক এবং ২০ ইসিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আমজাদ হোসেন দীদার বলেন, এ সড়কের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি অঞ্চলের মধ্যে আন্তঃআঞ্চলিক যোগাযোগের সময় ও দূরত্ব অনেকাংশে কমবে। পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য পরিবহন ও বাজারজাত খুব দ্রুততর হবে। এছাড়া পর্যটনশিল্পের প্রসারে ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, নির্মাণ প্রকল্পের প্রতিটি পর্যায়েই পাহাড় না কেটে এবং পরিবেশের ক্ষতি না করেই উন্নয়ন কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। সড়কটি আঞ্চলিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রেও কাজ করতে সহায়ক হবে।

প্রকল্পটির প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর এসএম খালেদুল ইসলাম বলেন, সড়কটি নির্মাণের প্রতিটি পর্যায়ে উন্নত প্রকৌশল ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত নির্মাণসামগ্রী। এর সুফল পাবে এলাকার মানুষ।

    ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com