ময়মনসিংহবৃহস্পতিবার , ২৪ অক্টোবর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাকা ঘর পেয়ে গফরগাঁওয়ে ১০ পরিবারে আনন্দ

উপজেলা প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৪, ২০১৯ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিধবা সুফিয়া খাতুন বয়স ৫১ বছর। তার স্বামী গত হয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তিনি প্রায় বিধ্বস্ত একটি ভাঙা ঘরে কাটিয়েছেন জীবনের বেশির ভাগ সময়। তিনি পেয়েছেন আধপাকা দুই কক্ষের ঘর, একটি রান্নাঘর ও শৌচাগার। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার এমন ১০টি গৃহহীন পরিবার পেয়েছে ১০টি ঘর।

‘গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় বাসস্থান নির্মাণ’ কর্মসূচির আওতায় পরিবারগুলোকে ঘর তৈরি করে দেয় সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ২৬ জুন থেকে ঘরগুলোর নির্মাণ শুরু হয়। প্রতিটি পরিবার পেয়েছে দুটি করে শোয়ারঘর, একটি রান্নাঘর, একটি শৌচাগার ও ঘরের সামনে একটি বারান্দা।

প্রকল্পের আওতায় যারা ঘর পেলেন, তারা হলেন- উপজেলার বাড়া গ্রামের আব্দুল মুর্শিদ, চরমছলন্দ গ্রামের রফিকুল ইসলাম, হাটুরিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন, দৌলতপুর গ্রামের আলাল উদ্দিন, ঘাগড়া গ্রামের সাবিনা আক্তার, দীঘিরপাড় গ্রামের আলম মিয়া, গোয়ালবর গ্রামের বাদল মিয়া, বালিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন বেপারী, নিগুয়ারী নয়াপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলাম ও বাগবেড় গ্রামের মতিউর রহমান।

তারা বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নের মতো লাগছে। অনেক কষ্টের জীবনে একটি পাকা বাড়ি পেয়ে আমরা পরিবারের সকল সদস্য খুশি।’

প্রকল্পের আওতায় উপজেলার দিনমুজুর, বিধবা, বর্গাচাষি, অটোরিকশা চালক ও রাজমিস্ত্রি এমন ১০ জনকে একটি করে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেয়া হয়।

শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ খাতে এ উপজেলায় বরাদ্দ হয় ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৪০ টাকা। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩৪ টাকা। বাড়িগুলোতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ থেকে ১০টি সাবমার্সিবল পাম্প স্থাপন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প টি-আর কাবিটা কর্মসূচির আওতায় গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় বাসস্থান তৈরির এই উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে।

    ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com