সরকারি হাসপাতালের নার্সদের দুর্নাম ব্যাপক। সাধারণ মানুষের অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের নার্সরা ভালোমত সেবা দেন না। তারা আন্তরিক নন। তবে পুরোপুরি উল্টো চিত্র দেখা গেল পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে নিজের ভাঙ্গা পা নিয়েও রোগীদের সেবা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স আয়শা মার্যান প্রমি। এ খবর প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম মেডিভয়েস।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওই হাসপাতালে মোট ৫ জন সিনিয়র নার্সিং কর্মকর্তা রয়েছেন। তার মধ্যে রাশিদা আক্তার লিমা বর্তমানে ঢাকায় হেপাটাইটিস বিষয়ে ট্রেনিংয়ের জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন। ইসরাত জাহান নামের একজন অসুস্থতার কারণে ছুটিতে রয়েছেন। মরিয়ম আক্তার নামের একজন মাথায় সমস্যা নিয়ে ছুটিতে আছেন। এস. এম.আজিজুল হক নামের একজন ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিংয়ে বরিশালে অবস্থান করছেন। যার কারণে তিনি (আয়শা মার্যান প্রমি) একমাত্র সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে ভাঙা পা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েও রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে।
তার এ সেবাদানের এসব দৃশ্য ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে। নিজের ভাঙা পায়ে সেবাদানের নানা দৃশ্য ফেসবুক টাইমলাইনে দিয়ে আয়শা মার্যান লেখেন, এত কিছুর পরেও কিছু অসাধারন লোক বলবে নার্সরা ভালো সেবা দিতে জানেন না, নার্সরা আন্তরিক নন। সহকর্মীরা বলবেন সবকিছুই লোক দেখানো ছিল, সহযোগিতা করি না। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলবেন, কী আর করবেন আপনারা বনাম আপনারাই তো। একটু কম্প্রোমাইজ করেন। পেশার অন্যান্য নেতা ও সিনিয়ররা বলবেন, এটা তোমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ওকে মানিয়ে নিচ্ছি, মেনেও নিচ্ছি আপনারাও তাই করেন। যতই হোক সরকারি চাকরি বলে কথা।
আয়শা মার্যান প্রমি তার ফেসবুক টাইমলাইনে আরও লেখেন, ‘পা ভাঙ্গার পরে, আমি রোগী হিসেবে হসপিটালে (নিজ কর্মস্থলে) ভর্তির সুবাদে ২৪ ঘন্টাই হসপিটালে থাকি, তার মধ্যে ১৮ ঘন্টা ডিউটি করি (বিকেল+রাত) বাকি ৬ ঘন্টা ঘুমাই। মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে দায়িত্ব পালনের জন্য আমিই একমাত্র ফিট।’
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com