ময়মনসিংহরবিবার , ১৬ জানুয়ারি ২০২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শাবিপ্রবিতে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩০

অনলাইন ডেস্ক
জানুয়ারি ১৬, ২০২২ ১১:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে ঘটনার সূত্রপাত হয়।

বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে করে পাঁচ পুলিশ সদস্য, ১০ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১৫ জন শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ এবং এক নারী পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে তালা ভেঙে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর উপাচার্যকে উদ্ধার করে পুলিশ তার বাসভবনে নিয়ে যায়। এরপর আধাঘণ্টা পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে কার্যালয়ের সামনে দেখা মাত্র দৌঁড়ে এসে তাকে ঘিরে ফেলেন। তারা উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেনন। এসময় উপাচার্যের সঙ্গে থাকা শিক্ষক-কর্মকর্তারা লাঞ্ছিত হন। প্রায় পাঁচ মিনিট উভয় পক্ষে ধাক্কাধাক্কি হয়। এসময় শিক্ষক-কর্মকর্তারা মানবপ্রাচীর তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে নিয়ে যান উপাচার্যকে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি, উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাকে দেখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য স্লোগান দিয়ে পথ অবরোধ করেছিলেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেনি। শিক্ষকরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হন। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলাও চালান। এতে তিনিসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ আত্মরক্ষার্থে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে। বর্তমানে পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের এ সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের গোলচত্বর থেকে একটি মশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে ঘুরে দ্বিতীয় ছাত্রী হলের সামনে এসে শেষ হয়।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

 

গৌরীপুর নিউজ/শ্রাবণ

    ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com