বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়ায় স্ত্রীকে হত্যার পর এক বছরের শিশু সন্তানকে রাস্তায় ফেলে যান অভিযুক্ত স্বামী। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে রাস্তার পাশে সেই শিশুর কান্নার শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এরপর এক কিলোমিটার দূরে পাওয়া যায় শিশুর মায়ের মরদেহ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তামিম শেখকে তার বাড়ি গোপালগঞ্জের বেতগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আগৈলঝাড়া থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানিয়েছে, দুই বছর আগে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বেতগ্রামের বাসিন্দা ঠিকাদার তামিম সিকদারের সঙ্গে বিয়ে হয় আগৈলঝাড়া উপজেলার নগরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রাশিদা বেগমের। এর আগে একই উপজেলার পয়সা গ্রামের মোকদ্দেসের সঙ্গে রাশিদার বিয়ে হয়েছিল।
তামিম শেখের সঙ্গে রাশিদা বেগম আগৈলঝাড়া উপজেলায় একটি ঘর ভাড়া করে থাকতেন। তাদের ঘরে এক বছর আগে একটি ছেলে সন্তানও জন্ম হয়। তবে বিয়ের পর তামিম রাশিদাকে বিভিন্ন কারণে মারধর করতেন। এ জন্য গত বছর বরিশাল আদালতে তামিমের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেন রাশিদা। সেই ক্ষোভ ও পারিবারিক বিরোধের কারণে গতকাল রাতে মাথায় আঘাত করে ভাড়া বাসায় রাশিদাকে হত্যা করে মরদেহ উপজেলা সদরের সেতুর নিচে ফেলে দেন। এছাড়া এক বছরের শিশুসন্তানকেও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কাছে ফেলে পালিয়ে যান তামিম।
এ বিষয়ে ওসি গোলাম ছরোয়ার বলেন, হত্যায় অভিযুক্ত মূল আসামি তামিম শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জেরে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন তিনি। উদ্ধারের সময় নিহতের মাথায় একাধিক আঘাতের ক্ষত রয়েছে। তার স্বীকারোক্তি এখন যাচাই-বাছাই চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গৌরীপুর নিউজ/শ্রাবণ
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com