ময়মনসিংহরবিবার , ১২ মে ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র দেন মেডিক্যাল এসিটেন্ট

গৌরীপুর নিউজ
মে ১২, ২০১৯ ৩:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল চলছে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে। হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগীরা সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালটি শুধু নামে আধুনিক। জরুরী বিভাগে মেডিকেল অফিসার থাকলেও ব্যবস্থাপত্র লিখেন প্রশিক্ষনার্থী সাব এ্যাসিটেন্ট মেডিক্যাল অফিসাররা।

রোগীরা সুচিকিৎসা পান না। এতে করে হাসপাতালে আগত রোগী ও স্বজনদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অভিযোগে জানা গেছে, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যার হাসপাতাল থেকে সম্প্রতি ২৫০ শয্যার হাসপাতালে উন্নয়ন করা হয়। রয়েছে জনবল সংকট। কিন্তু হাসপাতালে সেবার মান খুবই নিম্নমানের।

হাসপাতাল থেকে প্যারাসিটামল, নাপা, ম্যাট্রোনিডাজল, এন্টাসিড, রেনিটিন জাতীয় কিছু ওষুধ ছাড়া উন্নত মানের ওষুধ এ হাসপাতালে পাওয়া দুস্কর। এ ছাড়া চিকিৎসকরা তাদের দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন ডা. মোহাম্মদ একরামুল হাসান। হাসপাতাল এলাকায় ২৪ ঘন্টা থাকার কথা থাকলেও তিনি নিয়মিত গড় হাজির থাকেন।

শনিবার (১১ মে) হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের (আরএমও) কক্ষ খোলা থাকলেও তার চেয়ার খালি পড়ে আছে। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে অফিসের লোকজন কখনও বাইরে আবার কখনও ট্রেনিংয়ে আছেন বলে জানানো হয়।

অনেক রোগী ডাক্তার না পেয়ে চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবু ইসহাক কর্মরত ছিলেন। রোগীরও ভীড় ছিল বেশী। তার টেবিলের চার পাশে ৪-৫ জন অল্প বয়সী যুবক যুবতী বসে ব্যবস্থাপত্র লিখছেন। আবু আব্বাস ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের জনৈক ছাত্র হাসিবুর বেশ কয়েকদিন ধরে সর্দি কাসে ভোগছিল।

এ ব্যাপারে ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি তাকে না দেখেই এবং কিছু জিজ্ঞেস না করেই অনেকগুলো ওষুধ লিখে দেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই সমস্ত যুবক যুবতীরা সাব এ্যাসিটেন্ট মেডিক্যাল অফিসার। তারা চিকিৎসা বিষয়ে চার বছরের কোর্স সম্পন্ন করেছেন। ছয় মাসের হাতে কলমে প্রশিক্ষন নেয়ার জন্য সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হন। তারাই রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন। ডাক্তার সাহেব শুধু স্বাক্ষর করেন।

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ একরামুল হাসান সাথে মোবাইলে কথা হয়।

তিনি বলেন, হাসপাতালে জনবল সংকট রয়েছে। ২৫০ শয্যার হাসপাতাল চালানো হচ্ছে ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে। তারপর একজনকে নেয়া হয়েছে মেডিক্যাল কলেজে, আর একজন আছেন ছুটিতে।

নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. মো. তাজুল ইসলাম খান বলেন, জনবল সংকটের কারনে কর্মরত ডাক্তারদের সমন্বয় করে রোগীদের সেবা প্রদান করতে হচ্ছে। আরএমও ট্রেনিংয়ে আছেন। প্রশিক্ষনার্থী সাব এ্যাসিটেন্ট মেডিক্যাল অফিসারদের লেখা ব্যবস্থাপত্র কর্মরত দেখে স্বাক্ষর করেন।

    ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com