গৌরীপুর কৃষি ব্যাংক কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আলম ফরাজী : ময়মনসিংহের গৌরীপুর কৃষি ব্যাংকের কর্মচারী আবু রায়হান সরকার ওরফে উজ্জল সরকারের (২৮) বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধষর্ণের অভিযোগ ওঠেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক ধর্ষিতার বড় ভাইয়ের বন্ধু। এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার পল্লীতে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা বাদী হয়ে সোমবার নান্দাইল মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। দায়ের করা এজাহার ও ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গৌরীপুর কৃষি ব্যাংকের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ধর্ষক যুবক আবু রায়হান শিকদার ওরফে উজ্জল শিকদার (২৮) তার বড় ভাইয়ের বন্ধু ও প্রতিবেশী হন। প্রতিবেশী ও ভাইয়ের বন্ধু হওয়ার সুবাধে তিনি আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এ আসা যাওয়ার সুবাধে রায়হানের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে গত এক বছর ধরে ওই কলেজ ছাত্রীর জন্য পাত্র খুঁজছিলেন তার বাবা। কিন্তু পরিবারের পাত্র পছন্দ হলেও নানা ছুঁতোয় প্রভাব খাটিয়ে বিয়ে ভেঙে দিতেন আবু রায়হান। এভাবে বেশ কয়েকটি বিয়ের ঘর ভেঙে দেওয়ার পর আবু রায়হান শিকদার এক পর্যায়ে তার (কলেজ ছাত্রী) ভগ্নিপতির কাছে নিজের পছন্দের কথা জানিয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরিবারের লোকজনও এতে রাজী ছিল। এ অবস্থায় তার সাথে রায়হানের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী ভাষ্য গত রবিবার তার বাবা-মা ছোট বোনকে নিয়ে গফরগাঁও উপজেলায় অবস্থিত নানাবাড়িতে বেড়াতে যান। তিনি সেদিন বাড়িতে একা ছিলেন। গভীর রাতে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে তার ঘুম ভাঙে। দরজা খুলে তিনি আবু রায়হানতে দেখতে পান। রায়হান তখন তাকে ঠেলে ঘরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেয়। এসময় বিয়ের কথা বলে জোর করে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে চলে যেতে চাইলে তিনি (কলেজ ছাত্রী বাধা দেন) আবু রায়হান তখন আমার মা-বাবা ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলে ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যায়। পরে বাবা-মা ফিরে এলে কলেজ ছাত্রী ওই ঘটনাটি তার মাকে জানান। এ বিষয়ে আবু রায়হান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, তিনি ওই মেয়েকে চিনেন না। নান্দাইল থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।