ময়মনসিংহবৃহস্পতিবার , ২১ মার্চ ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সেই ব্যাংক কর্মচারী ধর্ষককে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিলেন কলেজ ছাত্রী

গৌরীপুর নিউজ
মার্চ ২১, ২০১৯ ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলম ফারজী : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর কেটে পড়ে ব্যাংক কর্মচারী। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পরদিন আজ মঙ্গলবার কৌশলে ডেকে এনে ওই ধর্ষককে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিল কলেজ ছাত্রী। এ ধরনের ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইলে।
স্থানীয় সুত্র ও পুলিশ জানায়,উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের বেতাগৈর গ্রামে ওই কলেজ ছাত্রীর বাড়ি। তার বাড়ির পাশের আফাজ উদ্দিন শিকদারের ছেলে মো.আবু রায়হান শিকদার ওরফে উজ্জল শিকদার (২৮) কলেজ ছাত্রীর বড় ভাইয়ের বন্ধু। সেই সাথে সে গৌরীপুর উপজেলার কৃষি ব্যাংকের ডাটা এন্ট্রি সুপারভাইজার পদে কর্মরত রয়েছেন। ভাইয়ের বন্ধু হওয়ার সুবাধে প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। কলেজ ছাত্রী জানায়, গত এক বছর ধরে তাঁর বাবা তাঁর জন্য পাত্র খুঁজছিলেন। কিন্তু পরিবারের পাত্র পছন্দ হলেও নানা ছুঁতোয় প্রভাব খাটিয়ে বিয়ে ভেঙে দিতেন আবু রায়হান। এভাবে বেশ কয়েকটি বিয়ের ঘর ভেঙে দেওয়ার পর আবু রায়হান শিকদার এক পর্যায়ে তাঁর (কলেজ ছাত্রী) ভগ্নিপতির কাছে নিজের পছন্দের কথা জানিয়ে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরিবারের লোকজও এতে রাজী ছিল। এভাবে তার সাথে রায়হানের গভীর সর্ম্পক গড়ে উঠে। এ অবস্থায় গত রবিবার তাঁর বাবা-মা ছোট বোনকে নিয়ে গফরগাঁও উপজেলায় অবস্থিত নানাবাড়িতে বেড়াতে যান। তিনি সেদিন বাড়িতে একা ছিলেন। এই সুযোগে রায়হান দরজা খুলে তাঁকে ঠেলে ঘরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে তাঁকে এখনই বিয়ে করার কথা বলে জোরকরে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে চলে যেতে চাইলে তিনি (কলেজ ছাত্রী) বাধা দেন। কিন্তু বাধা উপেক্ষা করে আবু রায়হান ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যায়। পরে বাবা-মা ফিরে এলে কলেজ ছাত্রী ওই ঘটনাটি তাঁর মাকে জানান। কলেজ ছাত্রী আরও জানান,এ ঘটনার পর ওই রাতই রায়হানের মোবাইল নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন করে বিয়ের কথা বললে রায়হান ঘটনা অস্বীকার করে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। পরে পরিবারের কাছে বিচার চেয়েও কোনো আশ্বাস না পেয়ে গত সোমবার রাতে নান্দাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই এ অভিযোগটি এফআইআরভুক্ত করে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুলিশ কলেজ ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জবানবন্ধীর জন্য জেলা সদরে পাঠানোর প্রস্তুতিকালে কলেজ ছাত্রী নিজের মোবাইল নাম্বার থেকে অভিযুক্ত রায়হানের মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে ফোনটি রিসিভ হয়। এক পর্যায়ে কলেজ ছাত্রী তাকে(ধর্ষক) আশ্বস্থ করে তার(কলেজ ছাত্রী) কথা মেনে দ্রুত এলে মামলা প্রত্যাহার করে নেবে। এই কৌশলে রায়হান নান্দাইল সদরে আসলেই গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক মো. লিটন মিয়া জানান,কলেজ ছাত্রীর কৌশল কাজে লাগিয়ে রায়হানকে গ্রেফতার করায় মামলার অনেক অগ্রগতি হয়েছে। গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত রায়হান কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করতে রাজী হয়েছে। তারপরও আদালতেই সব। এখানে থানার কিছু করনীয় নেই। #

প্রিয় পাঠক আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর,খবরের পিছনের খবর সরাসরি জানাতে যোগাযোগ করুন। আপনার তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

মোবাইলঃ +8801717-785548, +8801518-463033

ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com