কিশোরগঞ্জে পেটে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে শিশু সাগরকে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে পনের বছরের গ্রেপ্তার সাকিব।
জেষ্ঠ্য বিচারিক আদালতের হাকিম রফিকুল বারীর নিকট সোমবার এ জবানবন্দি দেয় সাকিব। কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবু বক্কর ছিদ্দিক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সাকিবের জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি জানান, ১৫ এপ্রিল পূর্ব কাতিয়ারচর এলাকায় অবৈধ বৈশাখী মেলার আয়োজক আবু হানিফ উরফে হাছু ডাকাতের সাথে মৃত সাগর ও লাদেনের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাগর ও লাদেনকে হাছুর নেতৃত্বে তার ছেলে, ভাই, ভাতিজারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। সাগর ও লাদেন হাছুকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে চলে আসে। ওই ঘটনায় হাছু ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলে, ভাই ও ভাতিজাদের নির্দেশ দেয় যে, লাদেন ও সাগরকে মেরে ফেলার জন্য। ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যার পর হাছুর ছেলে ও ভাই ভাতিজাসহ ৩০/৩৫ জনের একটি সশস্ত্র দল পাট গবেষণা কেন্দ্রের সামনে সাগর ও লাদেনের গতিরোধ করে। সাগর দৌড়ে পালানোর সময় অটোরিকশায় ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়। তখন সাগরকে আসামি আশিক ঝাপটে ধরে তখন খাবলা নাইম ওরফে নাইম। সে সাগরকে পেট বরাবর চাকু মারে এবং পিঠের মেরুদ- বরাবরে সাকিব নিজেই চাকু দিয়ে আঘাত করে।
ওসি আরও জানান, ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত চলছে এবং হত্যার সাথে এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও আরও আসামি জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। সাকিব ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিল না। কিন্তু আমরা সরজমিনে তদন্ত করে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ওই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, ওই মামলায় আটজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ এপ্রিল অবৈধ বৈশাখী মেলা চলাকালে সাগরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে সাগরের মা বাদী হয়ে আবু হানিফ ওরফে হাছু ডাকাতকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com