ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৮ এপ্রিল ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৯ বছরেও এসআই গৌতম হত্যাকান্ডের বিচার পায়নি তার পরিবার

গৌরীপুর নিউজ
এপ্রিল ১৮, ২০১৯ ৪:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মশিউর রহমান কাউসার: অদিতি রায় ঝিলিকের বয়স যখন সাত বছর তখন রাজধানীতে সন্ত্রাসীরা তার বাবা এস আই গৌতম রায়কে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ৯ বছর পার হলেও বিচার পায়নি তার পরিবার। অদিতি চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এখনও সে তার বাবাকে খুঁজে বেড়ায়। কখন তার বাবা বাসায় আসবে, তাকে আদর করে মা বলে কাছে ডেকে নিবে। বাবার ছবি হাতে নিয়ে প্রতিনিয়ত কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সে।

অপর দিকে গৌতম রায়ের একমাত্র পুত্র গৌরব রায় ঝলক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ থেকে পাস করেছে।

উল্লেখ্য রাজধানীর বংশাল থানার চৌকস অপারেশন অফিসার ছিলেন এস আই গৌতম রায়। ২০১০ সনের ১৯ এপ্রিল থানার কাজ শেষে রাতে বাসায় ফেরার পথে সুত্রাপুর থানার লাল মোহন সাহা স্ট্রিট এলাকায় সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে তাকে গুলি করে হত্যা করে।

গৌতম রায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ এলাকার স্বর্গীয় ইন্দ্র ভূষণ রায় ও বকুল রানীর সন্তান। জীবিত থাকা অবস্থায় সন্তান হত্যার বিচার দেখে যেতে পারলেন না তার পিতা-মাতা। এই হত্যাকান্ডের ৯ বছর পার হলেও বিচারের কোন খবর জানা নেই নিহতের পরিবারের কাছে। আদৌ সঠিক বিচার পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তার পরিবারের লোকজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গৌতম রায়ের ৯ম মৃত্যু বার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে তার পরিবারের লোকজন শ্যামগঞ্জ নিজ বাড়ীতে নিহতের আত্মার শান্তি কামনায় গীতাপাঠ, আচার অনুষ্ঠান ও প্রসাদ বিতরনের আয়োজন করেছে।

নিহত গৌতম রায়ের ছোট ভাই সাংবাদিক তিলক রায় জানান, যে পিস্তল দিয়ে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে সেই পিস্তলটি পুলিশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। যতটুকু শুনেছি এ মামলায় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল। বর্তমানে তারা সবাই জামিনে রয়েছে। গৌতম রায়ের হত্যাকান্ডটি সুপরিকল্পিত উল্লেখ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকান্ডের নেপথ্যে জড়িতদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

গৌতম রায় চাকুরি জীবনে প্রবেশের আগে গৌরীপুর প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, নেত্রকোনার পূর্বধলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক সম্পাদক, দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক জাহানের প্রতিনিধি ছিলেন। এছাড়া তিনি ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন পরে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন। বিনয়ী ব্যবহারের জন্য সর্বমহলে তার সুনাম ছিল। গৌতম রায়ের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি এলাকাবাসী ও পুলিশ বিভাগ।

    ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com