ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কওমী মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর বিয়ের দাবি নিয়ে ছাত্রীটি ধর্ষকের বাড়িতে যায়। ওই বাড়ির লোকজন ছাত্রীকে বেদম মারধর করে। ওই ছাত্রী থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানিয়ে বিচার দাবি করলে বলে পুলিশ, ধর্ষকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে মামলা রুজু করে।
ছাত্রীটি জানায় সে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরা ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি কওমী মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। চার বছর আগে মুঠোফোনের সূত্র ধরে তাঁর সাথে পরিচয় ঘটে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামের মো. শামীম মিয়ার সাথে। শামীম একটি কওমী মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। ছাত্রী জানান, সম্পর্ক গভীর হলে তাঁরা দুজন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় ও শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়।
ছাত্রী জানান, উপায় না দেখে তিনি ঘটনাটি মঙ্গলবার ঈশ্বরগঞ্জ থানা-পুলিশকে অবহিত করে বিচার দাবি করেন। পুলিশ মাইজহাটি গ্রামে গিয়ে মারধরের ঘটনার সত্যতা পেয়ে শামীমের বোন (মনোয়রা), ভগ্নিপতি আবদুল কদ্দুছ ও রমজান আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশ মুঠোফোনে কৌশল খাটিয়ে শামীমকেও আটক করে।
মুঠোফোনে ছাত্রীটি জানায়, বিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সর্বস্ব কেড়ে নেওয়ার পর শামীম তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় শামীমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। তাঁকে মারধর করার জন্য অন্য তিনজনকে ওই মামলায় অভিযুক্ত করেছেন।
শামীম ওই ছাত্রীর সাথে সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে মামলা না করলে তিনি তাঁকে (ছাত্রী) বিয়ে করতে রাজী আছেন বলে জানান।
প্রিয় পাঠক আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর,খবরের পিছনের খবর সরাসরি জানাতে যোগাযোগ করুন। আপনার তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
মোবাইলঃ +8801717-785548, +8801518-463033
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com