ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নে তাঁতকুড়া গ্রামে সোমবার (১৩ মে) বায়ার ক্রপ সায়েন্স এর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে “বায়ার আস্থা” নামে এক মাঠ প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় কৃষক মোঃ জুয়েল ইসলাম একজন সফল চাষী। তিনি বায়ার এর পরামর্শ মত তার একবিঘা প্রদর্শনীতে বীজ রোপণ থেকে শুরু করে বালাইনাশক ব্যবহার করে এবং তার অন্য জমিতে ব্রি ধান-২৮ চাষ করে যেখানে তিনি তার ইচ্ছামত অন্য কোম্পানীর সকল বালাইনাশক ব্যবহার করেন।
উক্ত মাঠ দিবসে গৌরীপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, খুচরা বিক্রেতা, কোম্পানীর পরিবেশক এবং কোম্পানীর প্রতিনিধি ও ফিল্ড কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক, সেন্টু রঞ্জন দত্ত সহ এলাকার গন্যমান্য অনেক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মাঠ দিবসে ক্রপ কাটিং শেষে দেখা যায় একরে অ্যারাইজ তেজ গোল্ড এর ফলন হয় ৮৭ মণ এবং ব্রিধান ২৮ এর ফলন হয় ৫২ মণ। টেরিটরি এক্সিকিউটিভ কৃষিবিদ মোঃ মাহবুব কবির বলেন, অ্যারাইজ তেজ গোল্ড ধানটি পাতাপোড়া (ব্যাকটেরিয়াল লীফ ব্লাইট) রোগ প্রতিরোধী হওয়ায় ধানের ফলন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র সরকার বলেন, কৃষক ভাইদেরকে এখন থেকে নতুন নতুন কৃষি টেকনোলজি সমৃব্ধ ধানের চাষে এগিয়ে আসা উচিত।
বায়ারের স্থানীয় পরিবেশক মোঃ শওকত আলী আসন্ন আমন মৌসুমে অ্যারাইজ ধানী গোল্ড, অ্যারাইজ তেজ গোল্ড এবং অ্যারাইজ এজেড ৭০০৬ হাইব্রিড ধানের চাষের জন্য স্থানীয় কৃষকদের প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য, অ্যারাইজ তেজ গোল্ড ধানে তেমন পোকামাকড় ও ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ ছিল না। এর ফলে স্থানীয় কৃষকবৃন্দ বায়ারের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করেন। আগামী আমন ও বোরো মৌসুমে অত্র এলাকায় বায়ার এর বালাইনাশকসহ অ্যারাইজ ব্রান্ডের তেজ গোল্ড, ধানী গোল্ড এবং এজেড ৭০০৬ ধানের চাষাবাদ বাড়বে বলে এলাকাবাসীর অভিমত।
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com