প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ২৯ জনকে আটক করেছে র্যাব-৬। সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার সামনে আনিসুর রহমানের নির্মাণাধীন একটি ভবনের কিডস ক্লাবে উত্তরপত্র লিখে দেয়ার সময় শুক্রবার সকালে তাদের আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে প্রশ্নফাঁস চক্রের মূল হোতা পাঁচ জন, ১৬ জন পরীক্ষার্থী ও ৮ জন অভিভাবক রয়েছেন। আটক প্রশ্ন ফাঁসের মূলহোতা ও জড়িত প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি আট অভিভাবকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মূলহোতারা হলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার পরানখালি গ্রামের মৃত. আহসান আলীর ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম (৩৯), সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জাপাঘাট গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে জনতা ব্যাংক পাটকেলঘাটার সেনেরগাতি শাখার পরিচালক আফতাবুজ্জামান (৩৫), একই গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে প্রাইমারি শিক্ষক আমিরুল ইসলাম (৩৫), আশাশুনি উপজেলার চেউটিয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে কৃষি ব্যাংকের অফিসার মনিরুল ইসলাম (৩৫) ও একই উপজেলার কাকবাসিয়া গ্রামের রইচউদ্দীনের ছেলে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান প্রশিক্ষক তরিকুল ইসলাম(৩৬)। পরীক্ষার্থীরা সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকার।
শুক্রবার বেলা ২টায় র্যাব-৬ অধিনায়ক সৈয়দ মোহাম্মদ.নুরুস সালেহীন ইউসুফ, পিএসসি সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালিয়ে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের পাঁচ হোতা ও ১৬ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এছাড়া আট অভিভাবক রয়েছেন। ঢাকা থেকে প্রশ্নপত্রটি এনে সাতক্ষীরায় পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হচ্ছিল। প্রশ্ন নেয়ার জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থী ১০-১২ লাখ টাকা করে চুক্তিবদ্ধ হয়। প্রশ্ন ফাঁস চক্রে জড়িতদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে প্রত্যেককে দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কুষ্টিয়ার আব্দুল আলীম ঢাকা থেকে প্রশ্নপত্রটি নিয়ে সাতক্ষীরায় আসে। তাদের কাছে পাওয়া প্রশ্নপত্র ও অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হুবহু মিলে গেছে।
সাতক্ষীরা র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার লে. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান জানান, আটক অভিভাবকদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com