ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ৯ নং কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে অতিদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১১৪ বস্তা ভিজিডির চাল উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কামরুন্নাহার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার রসুল চৌধুরী ওরফে সুমন চৌধুরীর হেফাজতে থাকা ঐ চাল উদ্ধার করেন। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা।
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে ৯ নং কাশিমপুর ইউনিয়নের ৩০৩ জন সুবিধাভোগী অতিদরিদ্র ভিজিডি কার্ডধারীদের মাঝে ৯০ কেজি করে ৩ মাসের চাল বিতরণ করা হয়।
সেখানে প্রতিটি ৩০ কেজি ওজনের ১১৪ বস্তা চাল বিতরণ না করে পাচারের উদ্দেশ্যে রেখে দেয়া হয়। চালগুলো পাচারের সুযোগ না পাওয়ায় বস্তাগুলো ইউপি চেয়ারম্যানের হেফাজতে ইউপি ভবনের একটি কক্ষে রেখে দেয়া হয়।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ঐ চাল জব্দ করেন। দীর্ঘদিন স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে রেখে দেয়ায় চালে পোকায় ধরে নষ্ট হবার উপক্রম হয়েগেছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সুমন চৌধুরী জানান, জানুয়ারী মাসে বিতরণ করা কার্ডে গরমিল থাকায় চালগুলো রেখে দেয়া হয়েছে। ইউপি মেম্বাররা সুবিধাভোগীর কার্ডে জ্বালিয়াতী করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিল। পরে সেগুলো রেখে দেয়া হয়। তবে স্থানীয়দের দাবী চেয়ারম্যান নিজেই এর সাথে জরিত রয়েছেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কামরুন্নাহার জানান, গরীব মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ না করে রেখে দেয়ায় আমরা তা জব্দ করেছি। এ ব্যাপারে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে মামলাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com