আব্দুল কাদির: ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর-শ্যামগঞ্জ সড়ক রক্ষণাবেক্ষন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ ওঠেছে সংশিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভাটি বাংলা এন্টার প্রাইজের বিরুদ্ধে।
এলজিইডির অধীনে ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৫০ টাকার চুক্তিমুল্যে এ রাস্তার রক্ষণাবেক্ষন কাজ শুরু হয় এপ্রিল মাসে। এপ্রিলে কাজ শুরু হলেও এখনো টানানো হয়নি প্রকল্পের তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ড।
সরজমিনে দেখা গেছে, রাস্তা প্রশস্থ করার জন্য মাটি কাটার পর বেডে রোলার করা, বালি ফিলিং করার পর পানি দেয়া ও রোলার করা, খোয়া ও বালির সাববেইজ করার পর রোলার করা এসব কোনটি নিয়ম অনুযায়ী করেননি ঠিকাদার। এতে বালু ও ইটের খোয়া ব্যবহারের অনুপাত সমান হওয়ার কথা থাকলেও বালুর পরিমাণ অনেক বেশি। নাম মাত্র দেয়া হচ্ছে নিম্নমানের ইটের খোয়া ।
রাস্তার বেশ কিছু স্থানে প্যালাসাইডিং এর কাজ হয়েছে কিন্তু এ গুলোতে কাজের পর কোন প্রকার পানি বা কিউরিং না করায় কাজের গুনগত মান খুবই খারাপ হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কার্য সহকারী খাইরুল ইসলাম জানান, নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই কাজ চলতেছে, বালু পালছি, বেড কইরা ডেসিং মেসিং কইরা বালু ফিলিং কইরা রোলার ডলা দিছি।
রোলার এখন কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়মনসিংহ একছেন অফিসে।
কয়দিন রোলার মারা হয়েছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন কয়দিন মারন লাগে না একদিন মারলেই চলে, যে মেঘ বৃষ্টি হইছে যে কমপেক্ট হইছে আর বালু ফিলিং এ রোলারের প্রয়োজন হয় না।
যখন এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হল, এই রাস্তায় কোন রোলার ব্যবহার করা হয়নি। তখন তিনি বললেন, কাজতো শেষ হয় নাই, বিটি রোলার আসলে রোলার মারা হবে।
এক পর্যায়ে খাইরুল ইসলাম ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবেদক কে বলেন আপনাকে এত কৈইফত দেয়া লাগে কেন? সমস্যা ডা কি? যা বলছি এতেই এনাফ থাকেন, রোলার মারছি না। রোলার মারার প্রয়োজন পড়ছেনা তাই মারছি না যখন প্রয়োজন হইব তখন এনে মারব। সাব বৈইজ এর সময় রোলার মারব। আমরা ১২ ইঞ্চি বালু ৩ ইঞ্চি খোয়া ৩ ইঞ্চি বালু দিতেছি।
উপজেলা প্রকৌশলী আবু সালেহ মোঃ ওয়াহেদুল হক জানান, এ সাইডে এখনো বিটি রোলার আনা হয় নাই। দ্রুত রোলার এনে রোলার মারা হবে। কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তা গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে জানান তিনি।


ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com