সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ১৪ দিন পার হলেও এখনো শনাক্ত হয়নি ইয়াছিনের লাশ। তাই ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে লাশের অপেক্ষায় মা-বাবা। তারা টাকা চান না, চান ছেলের লাশ। এ প্রতীক্ষায় দিন পার করছেন তারা।
ইয়াছিনের বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামে। তিনি বদিউল আলম খোকা মিয়া ও জোহরা আক্তার দম্পতির ছেলে। তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে ইয়াসিন মেজো। ১২ বছর ধরে বিএম কনটেইনার ডিপোতে কাভার্ডভ্যান চালকের দায়িত্বে ছিলেন ইয়াছিন।
খোকা মিয়া বলেন, সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার অগ্নিকাণ্ডে নিহত সবার লাশ মা-বাবার কাছে এসেছে। কিন্তু আমার ছেলের লাশ এখানো পাইনি।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণের সময় ফেসবুকে লাইভ করে ইয়াছিন। ছেলেকে সতর্ক করেছি। আগুন নিয়ে দুষ্টুমি না করার জন্যও বলেছি। কিন্তু ছেলে শোনেনি। বলেছে আল্লাহ ভরসা কিছুই হবে না। এ কথা বলে ফেসবুক লাইভে যায় ছেলেটি। লাইভ চলার তিন মিনিটের মাথায় বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। এরপরই বুঝতে পারি ছেলে আর বেঁচে নেই।
ইয়াসিনের বাবা বলেন, এ বছর ইয়াসিনকে বিয়ে করাতে মেয়ে দেখা শুরু করেছিলাম। ছেলেটি প্রতি মাসে সংসারের জন্য ১০-১৫ হাজার টাকা পাঠাতো। ছেলের বয়স ৩০ পূর্ণ হলেই বিয়ে করানোর কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই ছেলেটি লাশ হলো।
কাঁদতে কাঁদতে দিশেহারা ইয়াছিনের মা জোহরা আক্তার বলেন, শুনেছি কোম্পানি আমার ছেলেকে অনেক টাকা দেবে। আমি টাকা চাই না, সন্তানের লাশ চাই।
গৌরীপুর নিউজ/শ্রাবণ
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com