নেত্রকোনার কলমাকান্দা উব্ধাখালি নদীর পানি কমলেও বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রবাহিত হয়।
এছাড়াও খালিয়াজুরীর ধনু নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯ টায় এক সেন্টিমিটার বেড়ে ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে প্রমত্তা কংশ নদীর পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, পানি কমছে তবে ধীরে। সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দায় স্থানীয় নাম উদ্বাখালি অংশে পানির লেবেল ডাউনে চলে গেলে পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত হওয়া যাবে।
এদিকে বিভিন্ন এলাকার পানি নামছে ধীর গতিতে। ফলে এখনো অনেকের বাড়িঘরের চুলা জলমুক্ত হয়নি। মানুষ চিকিৎসার জন্য যেতে পারছে না হাসপাাতালে। সব এলাকায় দেওয়া হচ্ছে না স্বাস্ব্যসেবা। খাবার দিচ্ছে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তিসহ সমাসেবীরা। কিন্তু পানিবন্দির সংখ্যায় সেই খাবার অপ্রতুল। যেখানেই ত্রাণ দিচ্ছে খবর পেয়ে মানুষ ছুটছে। এমন অবস্থা জেলার প্রায় সবকটি উপজেলাতে।
জেলার সবকটি উপজেলার ৭৭ টি প্লাবিত ইউপির সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি থাকলেও সড়কসহ যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে নানাভাবে দুর্ভোগ প্রায় ১০ লাখ মানুষের।
জেলার ত্রাণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন জানান, মানুষজন যারা আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন সোমবার পর্যন্ত সেখান থেকে ২ থেকে ৩ হাজার বাড়ি ঘরে ফিরেছেন। রোববার জেলার ১০ উপজেলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর থেকে পাওয়া প্রতি উপজেলার জন্য ৫ লাখ করে টাকা পেয়ে সোমবার উপজেলাগুলোতে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও গো খাদ্য এবং শিশু খাদ্যের জন্য প্রতি উপজেলা ২ লাখ হিসেবে মোট ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে পত্র প্রেরণ করা হচ্ছে।
গৌরীপুর নিউজ/এইচএসএস
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com