ময়মনসিংহের গৌরীপুর সহনাটি ইউনিয়নের টেঙ্গাপাড়া গ্রামের সহোদর দুইভাই প্রতিপক্ষের ভয়ে দুইমাস পালিয়ে ছিলেন বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে। সামনে ঈদ, তাই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় গত মঙ্গলবার (২৮ জুন) বাড়িতে ফিরে আসেন তাঁরা। তবুও শেষ রক্ষা হলো না তাদের। গ্রামের লোকজন চলে যেতেই বিকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবারও হামলা করে প্রতিপক্ষরা। এসময় হামলাকারীরা বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করেন মৃত কমির উদ্দিনের ছেলে ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট সজিম উদ্দিন (৬০) ও তার ভাই জসীম উদ্দিন। এসময় তাঁরা ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চান।
জানা যায়, দীর্ঘদিন পূর্বে উল্লেখিত গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়ার দাদী খোদেজা খাতুনের কাছ থেকে ১০ শতক জমি ক্রয় করেন কমির উদ্দিন। তখন জমিটির দলিল করা না হলেও কমির উদ্দিন ভোগ দখল করে আসছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর দুইভাই সজিম ও জসীম তা চাষাবাদ করছিলেন । বছরখানেক পূর্বে জুয়েল মিয়া জমি বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে তার মালিকানা দাবি করেন। এনিয়ে একাধিকবার সালিশ দরবার হলেও তার সমাধান হয়নি। জুয়েল জোরপূর্বক জমির দখল নিয়ে নেন। গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সজিম উদ্দিন ও জসীম উদ্দিন গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামীরা জামিনে এসে তাদের হুমকি দামকী ও অত্যাচার শুরু করেন। এ অবস্থায় দুইভাই ভয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে লুকিয়ে থাকেন।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর জানান- হামলার ভয়ে সজিম ও জসীম দুইমাস যাবত বাড়ি থেকে পালিয়ে ছিলেন। ঈদ সামনে তাই ভাবলাম ওদের বাড়িতে দিয়ে আসি যাতে পরিবার নিয়ে ঈদ করতে পারে। প্রতিপক্ষরা আবারও হামলা করেছে তাদের উপর।
সহনাটি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য জুয়েল মিয়া বলেন- জমিটি সজিম ও জসীম অন্যায়ভাবে ভোগ দখল করছিল। প্রথমে ওরা হামলা করে, এসময় আমাদের দুইজন আহত হয়। পরে ওরাই আবার আমাদের নামে মামলা দায়ের করেছে, তাই এলাকাবাসী ক্ষু্দ্ধ ছিল তাদের উপর।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন- ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com