ময়মনসিংহরবিবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চীনে শ্মশানে মরদেহের ভিড়, দাহ করতে দীর্ঘ অপেক্ষা স্বজনদের

অনলাইন ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৫, ২০২২ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

চীনে ব্যাপকভাবে করোনার সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাণহানির ঘটনাও। এতে দেশটির শ্মশানগুলোতে মরদেহের সারি বাড়ছে। সেখানে প্রিয়জনের মরদেহ দাহ করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন স্বজনরা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএন-এর বরাতে ভারতীয় বা র্তাসংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে করোনা সংক্রমণ উল্কাগতিতে বাড়তে থাকায় এশিয়ার এ দেশটি জুড়ে শ্মশানগুলো ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। লোকেরা তাদের প্রিয়জনকে দাহ করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন।

সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলোতে স্বজনদের মরদেহের জন্য শবযান খুঁজে বের করার চেষ্টার পর অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াস্থলে মরদেহ দাহ করতে স্লটের অসুবিধায় পড়ার বর্ণনাও করেছেন অনেকে।

সিএনএন বলছে, চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে হাসপাতালগুলোতে জনাকীর্ণ ওয়ার্ড ও জনপূর্ণ শ্মশানের দৃশ্যগুলোকে এড়িয়ে যাচ্ছে। চীনা কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের নিজস্ব হিসাব অনুযায়ী করোনার কারণে মাত্র কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

টুইটারে বায়রন ওয়ান নামে একজন অযাচাইকৃত ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, ‘বেইকিং কমিউনিটি নিউজপেপার টংঝো এডিশন গত ২২ ডিসেম্বর রিপোর্ট করেছে যে, টংঝোর একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া গৃহ/শ্মশান সর্বোচ্চ চাপের মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে। সেখানে বর্তমানে প্রতিদিন ১৪০-১৫০টি মরদেহ দাহ করা হচ্ছে। যা আগে ছিল ৪০টি!’

সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বেইজিংয়ের প্রধান একটি শ্মশান সম্পূর্ণভাবে পরিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এমনকি শ্মশান এলাকার বাইরে গাড়ির দীর্ঘ সারিও ছিল যারা ভেতরে ঢুকতে অপেক্ষা করছিলেন।

এছাড়া শ্মশানের চুল্লি থেকে ক্রমাগত ধোঁয়া বের হতে এবং হলুদ মরদেহবাহী ব্যাগ ধাতব পাত্রের ভেতরে জমা হওয়ার কথাও বলা হয়। এর পাশাপাশি শোকাহত পরিবারগুলো সারিতে দাঁড়িয়ে নিহতদের ছবি তুলেতে অপেক্ষা করছিলেন বলেও জানায় সিএনএন।

কিছু লোক বলেন, করোনায় মৃত প্রিয়জনকে দাহ করতে তারা একদিনেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছেন। একজন ব্যক্তি সিএনএনকে বলেছেন, যে হাসপাতালে তার বন্ধু মারা গেছে সেটি মরদেহে পূর্ণ ছিল এবং তার বন্ধুকে হাসপাতালের মেঝেতে রাখা হয়েছিল।

অন্যদিকে, আশপাশের দোকানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করা হয়। তেমনই একটি দোকানের এক ফুল বিক্রেতা বলছেন, তার স্টক শেষ হয়ে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া ফুটেজের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের অনেক অংশের শ্মশানগুলো মরদেহের ঢেউ সামলাতে লড়াই করছে।

অবশ্য করোনারয় মৃত্যু নিয়ে চীনের সরকারি তথ্যের বিষয়ে সমালোচনা রয়েছে। সংক্রামক রোগ বিষয়ক চীনের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসক ওয়াং গুইকিয়াং বলেন, ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের সর্বশেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর যাদের মৃত্যু কেবল নিউমোনিয়া ও শ্বাসযন্ত্রের ব্যর্থতার কারণে হচ্ছে, তারাই কোভিডে মারা যাচ্ছেন বলে বিবেচিত হচ্ছে।

 

গৌরীপুর নিউজ/এইচএসএস 

    ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com