ময়মনসিংহসোমবার , ১২ ডিসেম্বর ২০২২

পর্তুগালকে অনেক ধন্যবাদ, কাতারকেও ধন্যবাদ: রোনালদো

খেলাধুলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ১২, ২০২২ ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

কোয়ার্টারে ফাইনালে আফ্রিকার সিংহ মরক্কোর কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। এ ম্যাচে রোনালদোকেই সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রাখেন কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। মরক্কোর বিপক্ষে মাঠে নামান ৫১ মিনিটের সময়। তাতে খেলার ফলাফলে কোনো পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারেননি তিনি। ফলে৩৭ বছর বয়সেও বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখা রোনালদোকে ফিরতে হয়েছে হতাশা নিয়েই।

দুঃস্বপ্নের এক বিশ্বকাপের পর রোববার (১১ ডিসেম্বর) দেশে ফেরার বিমান ধরছে পর্তুগাল ফুটবল দল। কিন্তু দলের সঙ্গে যাননি রোনালদো। একরাশ যন্ত্রণা নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়ার পর থেকে কিছুটা নিভৃতে চলে গিয়েছিলেন ফুটবলের এই ‘দুঃখী যুবরাজ’।

কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছিলো না রোনালদোর। কিন্তু সমর্থকদের খুব বেশি সময় অপেক্ষায় রাখলেন না ‘পর্তুগিজ ফুটবলের যুবরাজ’। ইনস্টাগ্রামে নিজের ভাবনা সমর্থকদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন তিনি। যেখানে সময়ের অন্যতম সেরা উইঙ্গার আক্ষেপ করে লিখেছেন, জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্নটাই ভেঙে গেল তার।

ইনস্টাগ্রামে রোনালদো লিখেছেন, পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্বপ্ন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমি অনেক শিরোপা জয় করেছি, পর্তুগালের হয়েও। কিন্তু বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিজের দেশের নাম লেখানো আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিলো। আমি এর জন্য লড়াই করেছি। আমি এই স্বপ্নের জন্য কঠিন লড়াই চালিয়ে গেছি। ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে আমি ৫ বিশ্বকাপে মাঠে নেমে গোল করেছি। অনেক গ্রেটদের পাশে খেলেছি এবং অগণিত পর্তুগিজের সমর্থন পেয়েছি। আমি আমার সর্বস্ব দিয়েছি। আমি সবটুকু মাঠে দিয়ে এসেছি। লড়াই শেষে আমি আর ফিরে তাকাই না এবং স্বপ্ন পূরণে আমি হাল ছাড়ি না।

এবারের বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচ খেলে কেবল একটি গোলই করতে পেরেছেন রোনালদো। নকআউট পর্বের দুই ম্যাচেই তাকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। ২০০৮ ইউরোর পর প্রথম কোনো মেজর টুর্নামেন্টে পর্তুগালের সেরা একাদশে জায়গা হয়নি রোনালদোর। যা প্রচুর আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। তবে রোনালদো সেই বিতর্ক নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও গুঞ্জন না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।

পোস্টের শেষদিকে জাতীয় দলকে বিদায় বলে দেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন রোনালদো। বলেন, দুঃখের বিষয় গতকাল সেই স্বপ্নের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। আমি শুধু এটুকুই বলবো, অনেক কথা হয়েছে, অনেক লেখা হয়েছে, অনেক গুঞ্জন ছড়ানো হয়েছে; কিন্তু পর্তুগালের প্রতি আমার নিবেদনে এতোটুকুও পরিবর্তন আসেনি। আমি সবসময় সবার উদ্দেশ্যের জন্য লড়াই করেছি এবং আমি কখনোই আমার সতীর্থ এবং দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবো না। এই মুহূর্তে আর তেমন কিছু বলার নেই। পর্তুগালকে অনেক ধন্যবাদ। কাতারকেও ধন্যবাদ। স্বপ্নটা যতোক্ষণ ছিলো ভালোই ছিলো। এখন আশা করি, সবার শেষটা নিজের মতো করে হোক।

দুঃস্বপ্নের বিশ্বকাপ হলেও এখানেই প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার ইতিহাস গড়েছেন রোনালদো। মরক্কোর বিপক্ষে খেলতে নেমে ছুঁয়েছেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ম্যাচ (১৯৬) খেলার কীর্তিও। বিশ্বকাপ শেষে এখন নতুন ক্লাব খোঁজার মিশনে নামতে হবে এই ফরোয়ার্ডকে।

 

গৌরীপুর নিউজ/শ্রাবণ

    ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com