শেরপুরের শ্রীবরদী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী জামালপুরের পতিতাপল্লী থেকে এক তরুণীকে (২০) উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার ভিকটিমকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, তরুণীর অভিভাবক ৯ আগস্ট শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নির্ণয় করে ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
বিয়ের প্রলোভনে পড়ে পাচার হওয়া ওই তরুণী উপজেলার খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়নের দক্ষিণ লংগড়পাড়া গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের কন্যা। এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় লোকমান মিয়া (২৩) নামে এক পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
লোকমান মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর নিচপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ওই তরুণীকে তার প্রেমিক লোকমান বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে জামালপুর শহরের রানীগাঁও (দয়াময়ী মোড়) এলাকার পতিতা পল্লীতে বিক্রি করে দেন। উদ্ধার হওয়া তরুণীকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
তরুণী জানান, দুই বছর আগে পাশের ঝিনাইগাতী উপজেলাতে তার বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি মা-বাবার কাছে চলে আসেন। তার মা-বাবা গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের চাকরি করতেন। এ কারণে তিনি পিতা-মাতার কাছেই থাকতেন। এরমধ্যে মোবাইলে তার সঙ্গে লোকমানের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মাস দুই আগে মা-বাবা তাকে শ্রীবরদীর দাদার বাড়িতে রেখে যান। পরে স্থানীয় একটি দাখিল মাদরাসার পড়ালেখা শুরু করেন। একপর্যায়ে ২০ জুন বিকেলে তাকে নিয়ে প্রেমিক লোকমান পালিয়ে যান। বিয়ের প্রলোভনে নানা জায়গায় ঘোরাঘুরি করে ওই রাতে আরও কয়েকজন মিলে তাকে জামালপুরের পতিতা পল্লীতে বিক্রি করে দেন। এ ঘটনার পর তার বাবা শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রেমিক লোকমানকে ধরতে পুলিশের দুটি টিম বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। বিষয়টি পুলিশ সুপার নিজে তদারকি করছেন।
জিএন/এইচ
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com