ময়মনসিংহে ছুরিকাঘাতে আব্দুর রাজ্জাক রাকিব (২৪) নামে এক যুবক খুন ও দুই বাস চালক আহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্তের পর মামলা করেছেন নিহত রাকিবের স্বজনরা।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে শাওন পারভেজসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামি করে নিহতের মা হাসি আক্তার কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক রাকিব নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কালীবাড়ি এলাকার ওসমান গণির ছেলে। আহতরা হলেন একই এলাকার জায়েদ উদ্দিনের ছেলে সাদেক আলী (৩২) ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঝাউগড়া এলাকার মৃত আক্তার আলীর ছেলে শহিদ মিয়া (৪০)। আহত দুজনই পেশায় বাসচালক।
ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক সাগর বলেন, আমার ভাতিজা রাকিব হত্যা ও দুই বাস চালককে আহত করার পর টুলবক্সের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। সেই ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করে যুবলীগ নেতা শাওন পারভেজসহ ১৬ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। গ্রেফতার মাজাহারুল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাত ৮টার দিকে নগরীর চায়না মোড়ে যুবলীগ নেতা শাওন পারভেজ ও তার সহযোগীরা সাইড না দেওয়ায় এক ট্রাকচালককে মারধর করেন। এ সময় স্থানীয়দের সঙ্গে আব্দুর রাজ্জাক রাকিব তাদের বাধা দেন। পরে তাদের ওপর হামলা করেন শাওনের লোকজন। স্থানীয়রা আব্দুর রাজ্জাক, সাদেক আলী, শহিদ মিয়াকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে প্রায় দুই ঘণ্টা ময়মনসিংহে সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ময়মনসিংহের সব আঞ্চলিক সড়ক ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাস চলাচল বন্ধ ছিল।
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com