ঢাকাশুক্রবার , ১৯ জানুয়ারি ২০২৪

চল্লিশায় শ্বশুর বাড়ির আমগাছে ঝুলছিল জামাইয়ের লাশ

অনলাইন ডেস্ক
জানুয়ারি ১৯, ২০২৪ ১১:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নেত্রকোনা চল্লিশার বামনমোহা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে আমগাছে ঝুলছিল জামাই গণপূর্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের (৪০) লাশ।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে খবর পেয়ে নেত্রকোনার মডেল থানার পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। দেলোয়ার হোসেন পাশের কাইলাটি ইউনিয়নের কাওয়ালীকোনা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।

দেলোয়ার নেত্রকোনা জেলা গণপূর্ত কার্যালয়ে (সাঁটলিপি) মুদ্রাক্ষরিক পদে কর্মরত ছিলেন। পরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় বদলি হন।

স্থানীয় চল্লিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমার ইউনিয়নের বামনমোহা গ্রামে মৃত সারজ আলীর মেয়ের জামাই। সকালে আমগাছে ফাঁস লাগা অবস্থায় দেখে খবর দেয়। আমি পুলিশ নিয়ে গিয়ে লাশ নামাই। তাদের কোন পারিবারিক বিরোধ বা কোন কিছু ছিলোনা বলেও তিনি জানান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গণপূর্তের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে দেলোয়ার হোসেন বদলির পর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঢাকা গেলেও পরবর্তীতে আবার স্ত্রী সন্তানকে বামনমোহা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে রেখে গেছেন।

স্থানীয়দের ধারণা তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিলো হয়তো যেকারনে এতোদিন দেলোয়ার ঢাকাতে একাই ছিলেন। (শুক্রবার) সকাল ৯টার দিকে প্রতিবেশীরা আম গাছে দেলোয়ারকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। কাউকে না জানিয়ে তিনি ঢাকা থেকে এসেছেন বলেও সকলে জানায়। পরে তাদের ডাক–চিৎকারে স্ত্রীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি আবুল কালাম জানান, আমরা খবর পেয়ে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে। গাছে প্লাস্টিকের রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিলো।

তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ দেয়নি তার পরিবরের লোকজন তবে অপমৃত্যু একটি মামলা হয়েছে। এলাকার লোকজন সকালে উঠে দেখে আম গাছে লাশ ঝুলছে পরে আমাদের খবর দেয়। তিনি আরও বলেন পারিবারিক কলহ আছে কিনা বুঝা যাচ্ছে না তবে তদন্তের পর জানা যাবে সকল কিছু।

 

জিএন/এইচ

    ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com