ময়মনসিংহশুক্রবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চৌদ্দ বছরেও এস আই গৌতম হত্যাকান্ডের বিচার পায়নি তার পরিবার !

স্টাফ রিপোর্টার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ১২:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজধানীর বংশাল থানার এস আই গৌতম রায় হত্যাকান্ডের চৌদ্দ বছর পার হলেও বিচার না পেয়ে আজ হতাশ তার পরিবার। এ হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার পাবে কিনা এ নিয়ে বর্তমানে সংশয় দেখা দিয়েছে গৌতম রায়ের পরিবারের লোকজনের মাঝে। তাই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচারে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিহতের পরিবার।

গৌতম রায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজার এলাকার মৃত ইন্দ্র ভূষণ রায় ও বকুল রানীর ছেলে। ২০১০ সনের ১৯ এপ্রিল থানার কাজ শেষে রাতে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর সুত্রাপুর থানার লাল মোহন সাহা স্ট্রিট এলাকায় সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে তাকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে।

গৌতম রায়ের ছোট ভাই সাংবাদিক তিলক রায় জানান- চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সুত্রাপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর র‌্যাব ও পুলিশের মধ্যে আসামী ধরা নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। পরে মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসাবে ডিবি পুলিশের কতাছে হস্তান্তর করা হয়। যে পিস্তল দিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে সেই পিস্তলটি পুলিশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনার একমাস পর তৎকালিন ডিএমপি কমিশনার দাবি করে ছিলেন হত্যকান্ডে ব্যবহৃত পিস্তল দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু সিআইডির ল্যাবে করা আলামত পরীক্ষার জন্য যে দুটি অস্ত্র ও গুলি (তিনটি) ও গুলির খোসা (তিনটি) পাটিয়েছেন সেগুলির পরীক্ষা করে দেখা গেছে এইসব গুলি ও দুটি অস্ত্র (উদ্ধার করা) থেকে ছোড়া হয়নি। হত্যাকান্ডের সময় দুজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী থাকার পরেও আসল অপরাধীচক্রকে পুলিশ চিহ্নিত করতে পারেনি। বরং পুলিশ প্রকৃত আসামীদেও আড়াল করার চেষ্টা করছে। পুলিশ আমাদেরকে মামলার বাদী হতে দেননি। তাই আমরা বারবার অভিযোগপত্র নিয়ে আপত্তি তুলেছিলাম।

মামলার দীর্ঘ দীর্ঘসুত্রিতা নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা তুলে ধরে তিনি বলেন- মোট ৪৭ জন সাাক্ষীর মধ্যে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মাত্র দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহন নিতেই ১০ বছর লেগে গেল, বাকী সাক্ষীদের সাখ্য দিতে কত বছর সময় লাগবে ?

এস আই গৌতম রায়ের জীবদ্দশায় চাকুরীকালীনত সময়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে অনেক মামলার তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করে পুরস্কার পেয়েছেন। অথচ সেই চৌকস পুলিশ কর্মকর্তার হত্যাকান্ডের চৌদ্দ বছরেও সেই প্রকৃত আসামীদের খুঁেজ বের করতে পারেনি পুলিশ।

গৌতম রায়ের হত্যাকান্ডটি সুপরিকল্পিত উল্লেখ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকান্ডের নেপথ্যে জড়িতদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিহতের পরিবারের লোকজন।

    ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com