ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উপজেলার এবছর শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পাওয়া নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ে ফেল করেছে ৭০জন। উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক দেওয়ান কামরুল হাসান খানের স্বীকৃতি পাওয়া লংখাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ফেল করেছে ১৩জন! মাদরাসা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান মো. আব্দুর রাজ্জাকের শালীহর এ মোতালেব বেগ দাখিল মাদরাসায় ফেল করেছে ৭জন। কারিগরী পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও শ্রেষ্ঠ প্রধান নির্বাচিত গৌরীপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ফেল করেছে ৩৩জন।
রোববার (১২ মে/২৪) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, সারাবছরের নানা কার্যক্রমের মূল্যায়নে এ বছর উপজেলা শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত একটি প্রতিষ্ঠানেও শতভাগ পাশের রেকর্ড নেই! এরমধ্যে নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দেয় ২৬৪জন। পাশ করেছে ১৯৪জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬জন। পাশের হার ৭৩.৪৮শতাংশ। লংখাখোলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৬জন পরীক্ষা দেয়। পাশ করেছে ৩৩জন। পাশের হার ৭২শতাংশ। গৌরীপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে এ বছর পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩০২জন। পাশ করেছে ২৬৯জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭জন। পাশের হার ৮৯শতাংশ।
মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন পাশের হারে রয়েছে অগ্রদূত নিকেতন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের ৩৯জনের মধ্যে পাশ করেছে ২১জন। পাশের হার ৫৩.৮৪শতাংশ। সর্বনিম্ন পাশের হারে দ্বিতীয়স্থানে শালীহর হাজী আমির উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের ১০৬জনের মধ্যে ৬২জন পাশ করেছে। পাশের হার ৫৮.৪৯শতাংশ। তৃতীয়স্থানে লামাপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের ৪১জনের মধ্যে ২৪জন পাশ করেছে। পাশের হার ৫৮.৫৪শতাংশ। মাদরাসা পর্যায়ে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম লক্ষিপুর নাছির উদ্দিন দাখিল মাদরাসা। এ বিদ্যালয়ে ১৮জনের মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ১জন। পাশের হার ৫.৫৫শতাংশ। দ্বিতীয়স্থানে পাছার ছামাদিয়া দাখিলা মাদরাসা। এ মাদরাসার ২৬জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৬জন। পাশের হার ৬১.৫৪শতাংশ। তৃতীয়স্থানে রয়েছে শালীহর এ মোতালেব বেগ দাখিল মাদরাসা। এ মাদরাসার ২২জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৫জন। পাশের হার ৬৮.১৮শতাংশ। কারিগরী পর্যায়ে ৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মিজাজ খান কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের ৮১জনের মধ্যে পাশ করছে ৩৩জন। পাশের হার ৪৪.৭৪শতাংশ। দ্বিতীয়স্থানে গিধাউষা কারিগরী স্কুল এন্ড বিএম কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের ৩৯জনের মধ্যে পাশ করেছে ২৬জন। পাশের হার ৬৬.৬৭শতাংশ। তৃতীয়স্থানে বীর আহাম্মদপুর কারিগরী ইন্সটিটিউট। এ প্রতিষ্ঠানের ২৩জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৬জন। পাশের হার ৬৯.৫৭শতাংশ।
এ উপজেলায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০৫জন। উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৫হাজার ১৯০জন। পাশ করেছে ৪হাজার ২১১জন। পাশের হার ৮১.১৩শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৮২জন, মাদরাসায় ১১জন ও কারিগরী শিক্ষা বোর্ডে ১২জন।
উপজেলায় সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে মনাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৪জন ও দ্বিতীয় অবস্থানে গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৫৩জন, তৃতীয়স্থানে গৌরীপুর রাজেন্দ্র কিশোর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৩৬জন আর। একমাত্র শতভাগ পাসের রেকর্ড করেছে লামাপাড়া কেরামতিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা। এ মাদরাসার ১৮জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। মাদরাসা পর্যায়ে সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে পুম্বাইল ফাজিল মাদরাসা ও কাউরাট আকবর আলী দাখিল মাদরাসা ৪টি করে। কারিগরী পর্যায়ে সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে গৌরীপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ৭জন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উপজেলায় এসএসসিতে ৩হাজার ৯৫৬জনের মধ্যে ৩হাজার ২৬৩জন পাশ করেছে। পাশের হার ৮২.৪৮শতাংশ। মাদরাসা বোর্ডের অধিনে দাখিলে ৫৭৮জনের মধ্যে পাশ করেছে ৪৩২জন। পাশের হার ৭৪.৭৪শতাংশ ও কারিগরী বোর্ডের অধিনে এসএসসিতে ৬৫৬জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫১৬জন পাশ করেছে। পাশের হার ৭৮.৬৫শতাংশ।
জিএন/হলি/এসএস/আরইউ
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com