ঢাকাশনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪

বিধবার সঙ্গে জামাইয়ের অবৈধ সম্পর্ক, ঘরে মিলল গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

অনলাইন ডেস্ক
নভেম্বর ১৬, ২০২৪ ১১:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জামালপুরের মেলান্দহে জরিনা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করছেন মেলান্দহ থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান।

নিহত জরিনার পরিবারের দাবি, পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় তার স্বামী তাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখেছেন।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পৌরসভার গোবিন্দপুর এলাকার ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি পুলিশ। এ সময় ঘরের দরজা জানালা বন্ধ ছিল। পরে দরজা খুলে ঘরের ধর্নার সঙ্গে ওড়না পেঁচানো ঝুলে থাকা লাশ রাত ৭টার দিকে নামিয়ে থানায় আনে পুলিশ।

নিহত ওই গৃহবধূ ওই এলাকার সেলিম শেখের স্ত্রী ও মাদারগঞ্জের কড়ইচুড়া ইউনিয়নের গয়ারপাড়া এলাকার মো. জহরুল ইসলামের মেয়ে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন স্বামী সেলিম শেখ।

নিহতের মা জানান, সন্ধ্যার পর আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ফোনে জানতে পারি। খবর পেয়ে ছুটে আসি আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে। সেখানে কাউকে না পেয়ে থানায় আছি। আমার মেয়ে জামাইয়ের এক বিধবা নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন। সেই মেয়েকে বিয়ে করবে বলেও জানা যায়। এ নিয়েই প্রতিনিয়ত ঝগড়া বিবাদ হতো মেয়ের সঙ্গে। আমার মেয়ে এটা কোনোভাবেই মানতে পারিনি। এরই জেরে জামাই সেলিম আমার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছেন। সে আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

নিহতের বাবা জানান, ২০১৫ সালে বিয়ের পর থেকেই তার মেয়েকে নির্যাতন করা হতো। তার জামাই তাদের পরিবারের কাউকে বাড়িতে আসতে দিতেন না। তার জামাইয়ের অন্য মেয়েদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে গত ৩ মাস আগে তার মেয়েকে তালাকও দিয়েছিলেন। পরে সালিশে আবার মীমাংসা হয়। এসব নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই পারিবারিক কলহ লেগেছিলো। এরই জেরে তার মেয়েক হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।

নিহতের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহিম জানান, সেলিমের অবৈধ সম্পর্কের কথা আমার বোন জানতে পেরেছিল। এ নিয়ে বলতে গেলেই তাকে মারধর করতো। এ নিয়ে বলতে গেলেই তাকে হত্যার হুমকি দিতেন। আজ সেটাই বাস্তবায়ন করলো। ঘটনার পর থেকেই বোন জামাই পলাতক রয়েছেন। এ থেকেও তো বোঝা যায় তিনি খুনি। আমরা এর বিচার চাই।

মেলান্দহ থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে লাশ রাতেই উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে জামালপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

জিএন/এইচ

    ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com