ইরানের রাজধানী তেহরানে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় একজন আরোহীও বেঁচে নেই। ইউক্রেনের ওই বিমানটি ১৮০ জন আরোহী নিয়ে তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। তবে আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যমের খবরে ১৭০ জন আরোহীর কথা বলা হয়েছে। খবর আল জাজিরা।
বুধবার সকালে বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি তেহরানের আন্তর্জাতিক বিমান থেকে উড্ডয়ন করেছিল। এটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পথে যাত্রা করছিল। ইরানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
এদিকে, ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দু’বার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই অঞ্চলের বেশিরভাগ আকাশসীমাই বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে তেহরানের কাছে ইউক্রেনের ওই যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক অস্থিরতার কোনো সম্পর্ক নেই। ইরানের তরফ থেকে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, বিধ্বস্ত বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল।
রাডারের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পিএস৭৫২ বিমানটি তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দর থেকে সকাল ৬টায় যাত্রা করেছিল। বিমানটিতে ১৮০ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছিল।
نخستین ویدئو از سقوط هواپیمای اوکراینی اطراف شهریار pic.twitter.com/M3bZiLLryQ
— خبرگزاری ایسنا (@isna_farsi) January 8, 2020
বিমানটি উড্ডয়নের মাত্র তিন মিনিটের মাথায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ইরানের একটি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিমানটি আকাশ থেকে মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এতে আগুন ধরে গেছে। বিমানটি উড্ডয়নের পর মাটি থেকে ৭ হাজার ৯২৫ ফুট ওপরে উঠেছিল। এরপর তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দরের কাছেই এটি বিধ্বস্ত হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ওই বিমানটিতে থাকা সব আরোহীই মারা গেছেন। বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি তেহরানের পারান্ড শহরতলীর কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে ইরানের রেড ক্রিসেন্ট বলেছিল, জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com