ময়মনসিংহশুক্রবার , ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

তারাকান্দায় ওসির কক্ষে সাংবাদিকের হাত-পা ভাঙার হুমকি দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪ ১১:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানা কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে সাংবাদিকের হাত ও পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: খাদেমুল আলম শিশির।

এ সময় ওসি’র সামনেই অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয় ওই সংবাদকর্মীকে।

ঘটনার সময় নীরব ভূমিকা পালন করেছেন ওসি মো: ওয়াজেদ আলী।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

হুমকির শিকার ওই সংবাদকর্মীর নাম মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজের ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

ভুক্তভোগী জানান, উপজেলার পলাশকান্দা কান্দাপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ জালাল উদ্দিন তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ওই গ্রামে বসবাস করেন। জালাল উদ্দিনের সঙ্গে প্রতিবেশীদের ঝগড়া থাকায় আশপাশের সবার বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকলেও জালালের বাড়িতে দিতে দেওয়া হচ্ছে না। পারিবারিক বিরোধের কারণে স্থানীয় একটি প্রভাশালী মহল এটি করছে। বিষয়টি নিয়ে শিশির চেয়ারম্যান বেশ কয়েকবার সালিশ করেন। কিন্তু মীমাংসা হয়নি। পরে সালিশে শর্ত দেওয়া হয় জালালের স্ত্রী বৃদ্ধা ফাতেমা খাতুনকে সবার কাছে মাফ চাইতে হবে, না হলে তার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না। কিন্তু ফাতেমা খাতুন বলেন, আমি কোনো অন্যায় না করে কেন ক্ষমা চাইব। এ ঘটনায় সরেজমিনে নিউজ করতে গেলে তাকে (সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম) খাদেমুল আলম শিশির হুমকি দেন। পরে থানায়ও এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়।

ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক ইলিয়াস আহমেদ বলেন, সাংবাদিকরা এখন ওসির কক্ষেও নিরাপদ নয়। একজন ইউপি চেয়ারম্যান থানায় হুমকি দিচ্ছেন আর ওসি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন বিষয়টি নিন্দনীয়। আমরা তদন্ত করে এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ওয়াজেদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, থানার বাইরে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। পরে তারা থানায় আসলে এখানেও তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় থানায় ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী আসছিলেন। তারাও উচ্চব‍াক্য করেছেন। এ সময় ওসি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন শহরে কাজ করে আসছি। এখন তারাকান্দা থানায় আসছি, চেষ্টা করি সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকার। তাই ঘটনার শেষে দুজনকে মিলিয়ে দিয়েছি। এরপরও সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম যদি কোনো অভিযোগ করেন, অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহমেদ ভুঁঞা গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে অভিযোগ দিলে বিষয়টি কঠোরভাবে দেখা হবে।

এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে ওই চেয়ারম্যানের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

 

জিএন/এইচ

    ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com