প্রায় তিন মাস আগে প্রেম করে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন নাঈম ও রেশমি। গত ১৯ ডিসেম্বর স্ত্রীকে নিয়ে রামাইলে শশুরবাড়িতে যান নাঈম। ওইদিন বিকেলে ঘুরতে বের হন তারা। তবে পরকীয়ায় আশক্ত ছিলেন রেশমি। সেই প্রেমিকের সহায়তায় স্বামী নাঈমকে হত্যার পর মরদেহ বালুচাপা দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান রেশমি।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন রেশমি। পরে স্ত্রীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে। নিহত নাঈম হোসেন উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চর ডাকাইতাবান্দা এলাকা থেকে স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হত্যার ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক মাসুদ ও স্ত্রী রেশমি খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মাসুদ অর্জুনা ইউনিয়নের চরভরুয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে এবং স্ত্রী রেশমি খাতুন একই ইউনিয়নের রামাইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
জানা যায়, প্রায় তিন মাস আগে প্রেম করে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন নাঈম ও রেশমি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ডিসেম্বর স্ত্রী রেশমিকে নিয়ে নাঈম রামাইলে শ্বশুরবাড়িতে যান। পরে রেশমি নাঈমকে নিয়ে বিকেলে ঘুরতে বের হন।
গ্রেফতার রেশমির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রেশমি পরকীয়ায় আশক্ত ছিলেন। তার প্রেমিকের সহায়তায় স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন রেশমি। এর আগে স্বামী নাঈমকে নিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী চরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। এরপর সরিষাবাড়ী সীমান্ত এলাকায় গিয়ে প্রেমিকের সহায়তায় হত্যার পর মরদেহ বালুচাপা দিয়ে রেশমি বাবার বাড়িতে চলে যান।
ভূঞাপুর থানার ওসি আহসান উল্লাহ্ বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। বেড়ানোর কথা বলে পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ গুম করতে বালুচাপা দেন। পরে রেশমিকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জিএন/এইচ
ইমেইলঃ news.gouripurnews@gmail.com